কবিরহাটে ৮ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী ধর্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় যুবদলকর্মী কর্তৃক এক কিশোরী স্কুলছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। ধর্ষনের পর কিশোরী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ায় তার গর্ভপাত করানো হয়। গর্ভপাতের পর কিশোরীটির অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কবিরহাট উপজেলার চাপ্রাশিরহাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড অমরপুর গ্রামে।
উল্লেখ্য গত ৭মাস পূর্বে একবার এবং ৬মাস পূর্বে আরো একবার কবিরহাট উপজেলার চাপ্রাশিরহাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড অমরপুর গ্রামের মৃত ছেরাজল হকের পুত্র যুবদলকর্মী মো: আলা উদ্দিন(৩৮) তারই মামাতো বোন সৌদিয়া বাজার জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী(১৪) কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকী দিলে কিশোরী মেয়েটি এতোদিন ঘটনা সম্পর্কে কাউকে কিছু জানায়নি। এক পর্যায়ে কিশোরীটি ৭ মাসের অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে পড়লে তার মা শেফালী বেগম ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে।
এ বিষয়ে শেফালী বেগম আলা উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে সে তাদেরকে নানা ভাবে হুমকী দিতে থাকে। অবশেষে ২২ ফ্রেব্রুয়ারী রাত ২টায় নোয়াখালীর জেলা সদরের মাইজদি একটি হাসপাতাল(প্রা:) লি: এ গর্ভপাতের মাধ্যমে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে। বর্তমানে কিশোরীটির অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তার পরিবার তাকে আজ পূণ:রায় একই হাসপাতালে ভর্তি করায়।
এদিকে ধর্ষিতার মা স্থানীয় চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন টিটুকে ঘটনার সম্পর্কে জানালে তিনি ধর্ষকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবে বলে তাকে আশ্বাস দেন। পরবর্তিতে ধর্ষণের বিষয়টি সম্পর্কে প্রতিবেদক চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জানতে চাইলে ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
ধর্ষণ ও গর্ভপাতের বিষয়ে ধর্ষক আলাউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিবেদককে জানায়, গ্রাম্য শালিসে যে বিচার করা হয় আমি তা মাথা পেতে নিব। এ বিষয়ে ধর্ষিতার মা কবিরহাট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
এদিকে ধর্ষিতা কিশোরী(১৪) এ প্রতিবেদককে জানান, আমি এ ঘটনায় আলা উদ্দিনের কঠোর বিচার চাই।
ঘটনা সম্পর্কে কবিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, আমি মৌখিকভাবে ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি। কিন্তু লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কেএইচপি