কোম্পানীগঞ্জের রাজনীতিতে উদীয়মান সূর্য ফখরুল ইসলাম রাহাত
প্রশান্ত সুভাষ চন্দ :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জন্মেছেন আ’লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এখানে জন্ম বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ ও সাবেক সাংসদ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর আবু নাছের চৌধুরীর। এখানে জন্ম আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতার। সমসাময়িককালে জনপ্রিয় নেতাদের মধ্যে আব্দুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলও অন্যতম। রাজনীতির মাঠে না থাকলেও এখানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাবেক জনপ্রিয় ছাত্রনেতা মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু।
জাতীয়ভাবে ওবাদুল কাদের ও মওদুদ আহমেদ দাফিয়ে বেড়াচ্ছেন। মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু অসুস্থ্যতা জনিত কারনে রাজনীতির মাঠে না থাকলেও স্থানীয়ভাবে কোম্পানীগঞ্জের রাজনীতিতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন আব্দুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল।
এক কথায় বলতে গেলে সকল দল মিলিয়ে জাতীয়ভাবে ও স্থানীয়ভাবে এদের মতো জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা স্বাধীনতার পর কোম্পানীগঞ্জে আর সৃষ্টি হয়নি।
রাজনীতির পট পরিবর্তন হব, রাজনীতি হবে, কিন্তু রাজনীতিতে ক্যারিশমাটিক ব্যক্তিত্ব উঠে আসবে না? তা কি হয়।
সময়ই নেতৃত্ব সৃষ্টি করে। যেমন ‘রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা’ ইস্যুতে বিশ্ব নেতৃত্বে উদীয়মান সূর্যের মতোই উদয় ঘটেছে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব তুন আবদুর রাজাকের।
ঠিক তেমনি ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় দেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ওবায়দুল কাদের আহত হওয়ার পর তার সাহচর্যে থেকে সক্রিয় রাজনীতির হাতে খড়ি নেন ফখরুল ইসলাম রাহাত। হয়ে উঠেন ওবায়দুল কাদেরের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন। পারিবারিক সম্পর্কের কারনে নয়। যোগ্যতা দিয়েই তিনি আজ এ অবস্থানে উঠে এসেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করা উদিয়মান এ তরুন ছাত্রজীবনেও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা, রাজনীতির দূরদৃষ্টি, মানবপ্রেম ও সহনশীল মনোভাব থাকলে একসময় তার প্রকাশ ঘটবেই। ২১ আগষ্টের পর ওবায়দুলের কাদেরের সাহচর্যে থাকাকালীন সময়ে ওবায়দুল কাদের বুঝতে পেরেছিলেন এর মধ্যে গুন আছে। রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হলে সাধারণ মানুষের জন্য তার ভাল কিছু করার ক্ষমতা আছে।
এ উপলব্ধি থেকেই ওবায়দুল কাদের ফখরুল ইসলাম রাহাতকে টেনে নিলেন কাছে। মিষ্টি ভাষি, সদালাপি ও কর্মীবান্ধব উদীয়মান এ তরুন আজ ওবায়দুল কাদেরের আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন। দলের জন্য ও দলের কর্মীদের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন। ক্লান্তি নেই, অনীহা নেই, ক্ষোভ নেই। হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। বলতে গেলে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ওবায়দুল কাদেরের জন্য সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে রাজনীতিতে আরেকজন উদিয়মান তরুনের আর্বিভাব হওয়ায়। নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে স্থানীয় নেতৃত্বে উঠে আসা ফখরুল ইসলাম রাহাতের চলার পথ মোটেই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরাতে একটি কু-চক্রি মহল শুরুতেই অপতৎপরতা চালিয়েছিল। কিন্তু তার ভাল ব্যবহার, সামাজিক কার্যক্রম, বন্ধুত্বতাপূর্ণ আচরণ ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারনে কু-চক্রি মহলের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।
ইতিমধ্যে কোম্পানীগঞ্জের রাজনীতিতে জনপ্রিয় ও পরিচিত মুখ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা উদীয়মান এ তরুনকে ঘিরে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অনেক প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যতে আব্দুল কাদের মির্জা বা মিজানুর রহমান বাদলের মতো নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন নেতা হওয়ার সম্ভাবনাও তার মধ্যে দেখতে পাচ্ছে অনেকে।
কেএইচপি