কোম্পানীগঞ্জে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে দুর্ণীতির অভিযোগ
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিবেদক :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এবং কাজে দুর্ণীতির অভিযোগ করেছে ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মেম্বাররা। সোমবার বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী এবং ওয়ার্ডের মেম্বারবৃন্দ নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ডঃ মাহে আলমের কাছে সচিব ফিরোজ মোঃ ইফতেখারের বিরুদ্ধে নানা অজুহাত দেখিয়ে এলজিএসপির ভ্যাটের টাকা আত্মসাৎ, সেবা প্রধানে দুর্ণীতি এবং অফিসে অনুপস্থিতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করে।
এসময় স্থানীয় মেম্বাররা অভিযোগে বলেন, বিভিন্ন খাত দেখিয়ে এলজিএসপির কাজের বিল থেকে মেম্বারদের কাছ থেকে ভ্যাটের টাকা ৬% এর বদলে ২৫% বাড়তি টাকা আত্মসাৎ করেন। কিন্তু ভ্যাটের কোন টাকাই তিনি সরকারী কোষাগারে জমা হয়নি। চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরীর অভিযোগ, সচিব ফিরোজ মোঃ ইফতেখার তার ইউনিয়ন পরিষদে যোগদানের পর থেকে(আগষ্ট,২০১৬) আজ পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদের আয় ব্যায়ের কোন হিসেব তিনি সচিবের কাছ থেকে পাননি।
অপরদিকে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, জন্ম নিবন্ধনের নামে ১শ থেকে ২শ টাকা, ট্রেড লাইসেন্সের নামে ৩শ থেকে ৫শ টাকা এবং চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটের জন্য কোন ধরনের উৎকোচ ছাড়া সাধারণ জনগনকে কোন সেবা দেয়া হয়না। এছাড়াও নিয়মিত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারনে জন সাধারণ সেবা থেকে বঞ্চিত হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে সচিব ফিরোজ মোঃ ইফতেখার অস্বীকার করে বলেন, তিনি জন্ম নিবন্ধনের জন্য বাড়তি টাকা নেন না ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নির্ধারিত ৫০টাকা নেন। এলজিএসপির ভ্যাটের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তা স্বীকার করে বলেন, বিলের ২৫% টাকা কেটে নেয়া হয়। যার ৬%ভ্যাট, ২% আয়কর, ২% স্টাফদের খরচ, ১০% চেয়ারম্যানের এবং ৫% সচিব নিজে নিয়ে থাকেন। তবে কাজের বিলের সব টাকা তিনি চেয়ারম্যানকে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, তিনি আমাকে এই পর্যন্ত কোন টাকার হিসেব দেননি। আমি কোন পার্সেন্টিজ নিই না।
উপস্থিত বক্তব্যে জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ডঃ মাহে আলম বলেন, আত্মসাতকৃত সরকারের ভ্যাট অবশ্যই সরকারকে ফেরত দিতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে উল্লেখিত অভিযোগ গুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেএইচপি