দাগনভূঞায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বাবার বিরুদ্ধে পুত্রকে হয়রানির অভিযোগ
ফেনী ব্যুরো :
দাগনভূঞায় মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়দানকারী আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে একমাত্র পুত্র আবদুল ওয়াহেদ মিলনকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভূক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার আমান উল্যাপুর গ্রামের অধিবাসী বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ফ্লাইট সার্জেন্ট আবুল খায়েরের সঙ্গে পুত্র আবদুল ওহায়েদ মিলনের সম্পত্তি ভাগভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মনোমালিন্য চলছে। জানা গেছে, আবুল খায়েরের কোটি কোটি টাকার সম্পদ আত্মসাৎের উদ্দেশ্যে তার মেয়ে ও মেয়ের জামাতাদের প্ররোচনায় পড়ে তিনি একমাত্র ছেলেকে না জানিয়ে গোপনে তার সব সম্পত্তি ৩ মেয়ের মধ্যে ভাগ করে দেন। এক্ষেত্রে তিনি তার প্রতিবন্ধি মেয়েকেও বঞ্চিত করেন।
বিষয়টি জেনে মিলন বাবার নিকট জানতে চাইলে গত সোমবার এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিতা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পুত্রসহ ৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এতে পুত্র আবদুল ওয়াহেদ মিলন গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। এ সুযোগে আবুল খায়েরের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা মিলনের স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপর মানষিক ও শারিরীক নির্যাতন করছে। বিয়য়টি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় দাগনভূঞা-সোনাগাজী সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) জুনায়েত কাওছার শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মিলনের স্ত্রী আমেনা ফেরদৌস জানান, স্বামীর অনুপস্থিতিতে ননদ ও শ^শুরের লোকজন, আত্মীয় স্বজন সহ কাউকে বাসায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ঘরে অবরুদ্ধ হয়ে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে আতঙ্কিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। এ ব্যাপারে আবুল খায়েরের মোবাইলে সংযোগ পেলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শরিয়ত উল্যা বাঙ্গালী জানান, আবুল খায়ের বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ফ্লাইট সার্জেন্ট। তিনি মুক্তিযোদ্ধা এমন তথ্য বিমান বাহিনী কিংবা মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত কোন তালিকাতেই নেই। থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম উদ্দিন জানান, পিতা পুত্রের বিরোধের ঘটনায় যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেদিকে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
আর.এস.বি/কেএইচপি