কারিমুল হাসান লিখন, ধুনটঃবগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। দুর্গত এলাকার বসতবাড়ী পানি ওঠায় ঘর ছেড়ে নিরাপদে মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে সোমবার বিকাল থেকে যমুনা নদীতে পানি বেশি বা কমেনি। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে যমুনা নদীতে আবারো পানি বৃদ্ধি পায়। প্রায় ১৮ ঘন্টায় ২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, যমুনা নদীর অভ্যন্তরের গ্রাম ও চরের নি¤œাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বুধবার কয়েকটি গ্রামের বসতবাড়ীর ভিতর পানি প্রবেশ করেছে। এসব পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। তিনি জানান, পানিবন্দি বৈশাখী চর, রাধানগর চর ও নদী তীরের সহড়াবাড়ী, শিমুলবাড়ী, কৈয়াগাড়ী, বানিয়াজান ও ভান্ডারবাড়ীর গ্রামের (আংশিক) মানুষের জন্য নিরাপদ পানি প্রয়োজন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছোবহান বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় ফসলের ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫৫০ রোপা-আপন, মাসকালাই, মরিচ, শাক-সবজি ও আখ খেতে পানি প্রবেশ করেছে।
ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, বন্যা কবলিত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ ঘোষনা করা হয়নি। তবে বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করলে উঁচু স্থানে পাঠদানের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে পানি বন্দি এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করা হতে পারে।