পলাশবাড়ীতে টুং টুং শব্দে ব্যস্ত কামার পল্লী
প্রতিনিধঃএস আই হাবিব ।আর মাত্র একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা কুরবানীর ঈদ। তাই হাতের কাজ শেষ করতেই টুংটাং ব্যস্ত সময় পার করছে কামার পল্লীর কামাররা। কোরবানি ঈদে সমাজের বিত্তবানরা চেষ্টা করে তাদের সামর্থ মত পশু কুরবানী দেওয়ার। আর এই কোরবানি পশুর মাংস বানাতে প্রয়োজন ছুরি ,দা বটির। সে কারণে পশু কোরবানির ছুরি ,দা ,বটি বানাতে কর্মকারদের দোকানে যেতে হচ্ছে তাদের। আর বাড়তি কাজের চাপে ব্যস্ত সময় কাটছে কর্মকারদের। পলাশবাড়ী কালিবাড়ি বাজার ও বিভিন্ন এলাকার কর্মকার দের দোকান ঘুরে দেখা গেছে। কারো সাথে কথা বলা তো দূরের কথা দম ফেলারও যেন সময় নেই তাদের। টুংটাং শব্দে লোহা পিটিয়ে তৈরি, করছে ছুরি, দা, ও বটি। চারপাশে পড়ে আছে ছুরি, কাঁচি বটি ও লোহার টুকরা একটা রেখে আরেকটা ধরছে হাতের যেন বিরাম নেই। বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে পলাশবাড়ীর নবগঠিত পৌর এলাকার হারুন মার্কেটের সুদিন কর্মকারের দোকানে ঢুকতেই চোখ পড়ে ছুরি হাতে বসে আছে দিঘল কান্দি গ্রামের নাহিদ হাসান নাজমুল। তিনি বলেন, সকাল থেকে বসে আছি হাতে থাকা ছুরিটা পোড়াবো বলে। না পোড়ালে এটা দিয়ে এবার ছাগল কোরবানি দিতে পারব না। কিন্তু সুদিন কামারের হাতের কাজই শেষ হচ্ছে না। এমনি আরো কয়েক জনকে দাঁড়িয়ে ও বসে থাকতে দেখা গেছে। কাজের ফাঁকে কিছু সময় কথা হয় সুদিন কর্মকারের সাথে তিনি বলেন, ঈদ আসলেই বেড়ে যায় বাড়তি কাজের চাপ। দিন রাত খেটে লোহা পিটিয়ে তৈরি করতে হয় পশু কোরবানির ছুরি,দা,বঁটি। সারাদিন লোহা পিটিয়ে হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে বিশ্রাম নিতে পারছি না। তিনি আরো জানান কোরবানি ঈদের কয়েকটি দিন কাজের চাপ বেশি থাকে আর বাকি সময় গুলো অলস ভাবে কাটতে হয়।