প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাবেক সচিব কেএম নুরুল হুদা
ডেস্ক :
সাবেক সচিব কেএম নুরুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন নির্বাচন কমিশনের অন্য চার সদস্যরা হলেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত রাজশাহীর জেলা জজ কবিতা খানম এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
সোমবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে রাষ্ট্রপতির সুপারিশকৃত এই নাম ঘোষণা করেন। সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে নতুন নির্বাচন কমিশনের তালিকা চূড়ান্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি। নির্বাচন কমিশনের অন্য চার সদস্যরা হলেন-সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত রাজশাহীর জেলা জজ কবিতা খানম এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
এর আগে সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নির্ধারিত সময়েই বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। এ সময় তারা রাষ্ট্রপতির কাছে ১০টি নামের তালিকা ও দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠকে ওঠে আসা সুপারিশমালার সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেছেন। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার সময় সার্চ কমিটির সদস্যরা বঙ্গভবন ত্যাগ করেন। বঙ্গভবন ছাড়ার সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গভবনে এই বৈঠকের ফলাফল জানাতে সচিবালয়ে রাত ৯টায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেন। উল্লেখ্য, সার্চ কমিটি গঠনের আগে রাষ্ট্রপতি ৩১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বঙ্গভবনে সংলাপ করেছেন। সংলাপ শেষে গত ২৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনারদের নাম সুপারিশের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, মহাহিসাব নিরীক্ষক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীন আখতার। সার্চ কমিটি গঠনের পর ৩০ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ১৬ জন বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করে সার্চ কমিটি।
ওয়াহিদ রুবেল/কেএইচপি