বগুড়ায় পুলিশের সততায় ৫০ হাজার টাকা ফিরে পেলো এক বৃদ্ধা
মালেকা বেগম (৬০)। চুলে ধরেছে পাক, বয়সের ভারে অনেকটা নুব্জ। তাকে ও তার সন্তানকে একা করে স্বামী জস্মট উল্লাহ ওপারে চলে গেছেন অনেকদিন আগেই। অভাবের তাড়নায় ধার দেনা করে সন্তানকে পাঠিয়েছেন বিদেশে শ্রম বিক্রির জন্য। সন্তান মাসে মাসে যে টাকা পাঠায় তা দিয়েই ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি চলছে সংসার। আজ রবিবার মালেকা বেওয়া সন্তানের পাঠানো ৫০ হাজার টাকা ইসলামী ব্যাংক শাখায় উত্তোলন করে রিক্সাযোগে বাড়ি যাবার জন্য চেলোপাড়া সি এন জি স্ট্যান্ডে এসে নামে কিন্তু ভুল করে টাকার ব্যাগটি রিক্সাতে রেখেই চলে যায়। রিক্সাওয়ালা টাকার ব্যাগটি নিয়ে চম্পট দেবার চেষ্টা করলে সেখানে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল অজিত রায় এর সন্দেহ হয়। এসময় সে রিক্সা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সন্দেহ হয় এবং তার হাতে থাকা টাকার ব্যাগটি পরীক্ষা করলে ভিতরে একটি জাতীয় পরিচয় পত্র দেখতে পান। এরপর ওই পরিচয় পত্র হিসাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় টাকার প্রকৃত মালিক বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের মালেকা বেওয়া। পরে তাকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। তার হাতে ৫০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেন বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁঞা বিপিএম বার। এসময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ, জেলার সকল উপজেলার চেয়ারম্যান বৃন্দ, সুশীল সমাজের ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। হারানো টাকা ফিরে পেয়ে মালেকা বেওয়ার চোখে মুখে দেখা দেয় হাসির ঝিলিক। তিনি বলেন,” আজগে হামি অনেক খুশি হচি, হামি ভাবছিনু ট্যাকা গুলো আর ফিরত পামুনা, কিন্তু অাজগে বগরোর পুলিশ স্যারেরা যে আসলেই মানুষের সেবা করে আজ তার প্রমাণ প্যানু”। তিনি বগুড়া জেলা পুলিশের সকল সদস্যের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।