বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থান, এটা কেবল মাত্র পাঁচ অক্ষর দিয়ে তৈরী একটা শব্দ নয়। এটা আরো অনেক অনেক বেশি কিছু। এটা একটা ইতিহাস। এর হাজার হাজার বছরের পুরনো প্রতিটি ইটের পরতে-পরতে ছড়িয়ে আছে ঐতিহ্য, ইতিহাস- আশা-নিরাশার ইতিহাস, পাওয়া-না পাওয়ার ইতিহাস, যুদ্ধ-শান্তির ইতিহাস, আনন্দ-বেদনার
ইতিহাস। ইতিহাস ছড়িয়ে আছে এর আকাশে-বাতাসে, পথে প্রান্তরে ইতিহাস-
=======
বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থান ইতিহাস প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার বছরের পুরনো। মহাস্থানের নাম ছিল পূন্ড্রনগর বা পূন্ড্রবর্ধন। তখন মহাস্থান ছিল এক সমৃদ্ধ নগর, এই প্রদেশের রাজধানী। মহাস্থান বিখ্যাত ছিল সমৃদ্ধি, শিক্ষা, সাংস্কৃতি
ইত্যাদির জন্য। মৌর্য, পাল ও সেন বংশ এই রাজ্য কে শাসন করেছে। সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষণ সেন যখন গৌড়ের রাজা ছিলেন তখন এই গড় অরক্ষিত ছিল। তখন পূন্ড্রনগরের রাজা ছিল নল । তার ভাই নীল এর সাথে তার বিরোধ লেগেই থাকত। সেই সময় ভারতের দাক্ষিণাত্যের শ্রীক্ষেত্র থেকে প্রায়চিত্ত করার জন্য এক ব্রাক্ষণ আসে এখানে। এই ব্রাক্ষণের নাম ছিল রাম। তিনি দুই ভাই এর মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং এক সময় নিজেই রাজা হয়ে যান।
ইতিহাসে ইনিই রাজা পরশুরাম নামে পরিচিত।
তার অত্যাচার যখন বেড়ে চলছিল, তখন এক সাধক পুরুষের আগমন ঘটে। তার নাম ছিল হযরত শাহ সুলতান বলখী ( র: )। তিনি আফগানিস্তানের বল্খ প্রদেশ থেকে এসেছিলেন। কথিত আছে তিনি মাছের পিঠে চড়ে এসেছিলেন। পরশুরাম ও উনার মধ্যে যুদ্ধ হয় এবং পরশুরাম পরাজিত হয়। এরপর পূন্ড্রনগরে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
নুরনবী রহমান দৈনিক মহাস্থান সম্পাদক
০১৭১১-৭১৭০১৫