বগুড়ার গাবতলীর তরণীহাটে দিনদুপুরে ব্যবসায়ীকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে টাকা লুট।
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের তরণীহাটে দিনদুপুরে ব্যবসায়ীকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে টাকা লুট করার ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের হলেও বেপরোয়া আসামীরা মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৫ মে দুপুর ২টার সময় উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের তরণীরহাটে সরকার মেশিনারী এন্ড ভেরাইটিজ ষ্টোর এর স্বত্ত্বাধিকারী কালাইহাটা গ্রামের খলিলুর রহমান কে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। জানা যায়, মালিয়ানডাঙ্গা গ্রামের তবিবরের পুত্র তানজিদ, খোকা আকন্দের পুত্র লিটন, শুটকু, মালেকের পুত্র কামাল, শাফি ও শাফির পুত্র সজিব, মোতাহারের পুত্র রাসেল, আল আমিন, দবিরের পুত্র হামিজ্জল, সাইফুলের পুত্র স্বপন, ফুরুর পুত্র ইসলাম ও মিছিরের পুত্র সুজন তরণী হাটের ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানকে ধারালো দা, লোহার রড, কাঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠি-সোটা নিয়ে এলাপাতাড়ী মারপিট করে। এসময় তানজিদের হুকুমে লুটপাট ও দোকানের আনুমানিক ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করে। একই সাথে তানজিদ তার হাতে থাকা দা দিয়ে খলিলুর রহমানের মাথায় হত্যার উদ্দেশ্যে পরপর কোপাতে থাকলে সে জ্ঞান হারালে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। এসময় তার কাছে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। মামলার বাদী খলিলুর রহমানের পুত্র শামিল রহমান জানান, তার বাবাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় ৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। হামলাকারীরা ঐ সময় বলেছে, প্রয়োজনে এই টাকা (লুট করা টাকা) দিয়েই মামলা চালাবো। একই সাথে সে জানায়, মামলা তুলে না নিলে আরো বড় ধরণের ক্ষতি ও জীবনও যেতে পারে বলে হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এদিকে গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।