বগুড়ার পলীতে ওষুধের দোকানে চুরির অপবাদে স্কুল ছাত্রকে বেধরক মারপিট!
নামুজা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার পলীতে ওষুধের দোকানে চুরিরঅপবাদে এক স্কুল ছাত্রকে বেধরক মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়নের সুরাইল গ্রামের অজিত চন্দ্রের পুত্র শ্রী সুজন চন্দ্র (১০) দামগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। সে গত ২১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) স্কুলের টিফিন সময়ে স্কুলের পার্শ্বে স্থানীয় মিনা বাজারে জুলহাস হোসেনের ওষুধের দোকানে টেষ্ট্রি হজমি নিতে যায়। এসময় ওষুধের দোকানের সাটার অর্ধেক নামানো দেখে ওই ছাত্র মনে করে যে ভিতরে রোগীর রুমে ওষুধের দোকানদার আছে। সেই রুমেও ওষুধের দোকানদারকে না পেয়ে বাহিরে বের হয়ে যেতে থাকে। এসময় ওষুধের দোকানদান জুলহাস হোসেন চোর চোর বলে চিৎকার করে এবং ওই স্কুল ছাত্রকে সজরে ধৃত করে। পরে ধৃত স্কুল ছাত্রকে স্থানীয় সৈয়দ দামগাড়ার পশ্চিম পাড়া গ্রামের হারুন হাজী ও ওষুধের দোকানদার জুলহাস মিলে ওই স্কুল ছাত্রকে দোকানের বারান্দার খুটির সাথে হাত বেধে বেধরক মারপিট করতে থাকে। তাদের মারপিটে স্কুল ছাত্র শ্রী সুজন চন্দ্রের ডাক চিৎকারে স্থানীয় জনতা এগিয়ে আসে শিশুটিকে মারপিট বন্ধ করে। স্কুল ছাত্রকে মারপিট করার সংবাদ পেয়ে ওই স্কুলের সহকারী শিক ফাইম হোসেন ঘটনার স্থল থেকে আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে স্কুলে নিয়ে যায়। স্কুল ছাত্রকে মারপিট করার ঘটনার প্রতিবাদে মিনা বাজারে দুই পরে মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মীর্জা গোলাম হাফিজ সোহাগ উপস্থিত হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সালিশ করার কথা বলে পরিস্থিত শান্ত করে। স্কুল ছাত্র শ্রী সুজন চন্দ্রকে বেধরক মারপিট করার বিষয়ে তার পিতা শ্রী অজিত চন্দ্র জানান, আমরা হিন্দু মানুষ বলেই আমার স্কুল পড়–য়া শিশু ছেলেকে বেধরক মারপিট করা হয়েছে। তিনি আরোও জানান, স্কুলে পড়তে গিয়ে মিথ্যা অপবাধে যে মারপিট করা হয়েছে, সেই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্কুল পরিচালনা পর্ষদের নিকট আমি সু-বিচার দাবী করছি। এ ব্যাপারে ২১ জনুয়ারি মাঝিহট্ট ইউপি চেয়ারম্যান মীর্জা গোলাম হাফিজ সোহাগের নিকট জানতে চাওয়া হলে, তিনি শিশুটিকে মারপিট করা হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।