বগুড়ার প্রাণ হারাল মা-ছেলে,বেঁচে গেল বাবা
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে মর্মান্তিক এক নৌকা ডুবির ঘটনায় ২ জন নারী ও চার বছরের এক ছেলে (শিশু) সন্তানসহ ৩ জন নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় গত শনিবার মোছা. আলিভা (২২) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ওই নৌকা ডুবির ঘটনায় রবিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩ টার দিকে সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার ভেলুর চর নামক এলাকা থেকে আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস টিম। এ নিয়ে মোট উদ্ধার সংখ্যা দাঁড়াল ২ জন। নিখোঁজ রয়েছে শিশুটির মা রত্ন বেগম । তবে শিশু ছেলে ও তার মা প্রাণ হারালেও প্রাণে বেঁচে শিশুর বাবা ফজলুল হক।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম জানান- গত শুক্রবার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনা নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় রবিবার দুপুর ৩ টার দিকে আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ দিয়ে ২ জন উদ্ধার করা হলো। উদ্ধাররত শিশুটিকে দাফনের জন্য শিশুটির স্বজনদের কাছে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। শিশুর মাকেও উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো জানান, উদ্ধাররত শিশুর বাবা গাজীপুর কোনাবাড়ীর একটি গার্মেন্ট কারখানায় পোশাক শ্রমিকের চাকরি করতো। এরআগে গত শনিবার বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড়ের অদূরে বল্লভবাড়ী (পাথরঘাট) এলাকা থেকে আলিভা নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেও গার্মেন্টকর্মী ও বগুড়া সোনাতলা উপজেলার মধ্য-দিঘলকান্দি গ্রামের মো. তামিজ উদ্দিনের মেয়ে ও গাজীপুর সদর উপজেলার মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
উদ্ধার হওয়া শিশু বগুড়া ধুনট উপজেলার উজানসিংহ গ্রামের মো. ফজলুক হকের ছেলে। প্রাণে বেঁচে যাওয়া শিশুর বাবা ফজলুল হক বলেন- লকডাউন ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব গোলচত্বরে চেকপোস্টের কারণে গত শুক্রবার নৌকাযোগে যমুনা নদী পার হওয়ার জন্য সিরাজগঞ্জ যাচ্ছি ছিলাম। পথিমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর ১৪ নং পিলারের কাছে পৌঁছালে নদীর পানির ঢেউওয়ে নৌকার বেগ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়। পরে নৌকায় থাকা ১৪ জনের মধ্য আমরা ১১ জন সাঁতরিয়ে জেগে উঠা বালুর (দ্বীপ) চরে উঠা হয়। কিন্তু আমার স্ত্রী ও শিশু ছেলে নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজা-খুঁজি করেও তাদের আর পাওয়া যায়নি। পরে রবিবার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযানে আমার শিশু ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে। স্ত্রী এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তবে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।