স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক ডা: বিপুল চন্দ্র রায় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত “শ্রী অরবিন্দ আই কেয়ার” সম্পর্কে বগুড়ার কয়েকটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে তা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উক্ত সংবাদে ডা: বিপুল চন্দ্র রায় সম্পর্কে যে সকল বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ভুয়া, যোগসাজসী এবং উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। প্রকৃতপক্ষে একটি স্বার্থান্বেষীমহল তাদের স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে সম্পূর্ণ ব্যক্তিস্বার্থে ও “ শ্রী অরবিন্দ আই কেয়ার” এর সুনাম নষ্ট করতে মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দ্বারা সংবাদ তৈরি করে তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছে মাত্র। প্রচারিত উক্ত সংবাদে ডা: বিপুল চন্দ্র রায় এর শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁর সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ডা: বিপুল চন্দ্র রায় ১৯৮২ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এমবিবিএস পাস করেন। তাঁর বিএম এন্ড ডিসি নং অর্থ্যাৎ রেজিস্ট্রেশন নং ১০৪৬৫। ১৯৯২ সালে তিনি চক্ষু রোগের উপর (বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান সার্জন) এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। যার রেজি নং এ-১০৪৬৫। ২০০০ সালে ভারতের আহমেদাবাদ রেটিনা ফাউন্ডেশন হতে তিনি এফআরএফ ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৫ সালে বিশ্বের সর্ববৃহৎ চক্ষু হাসপাতাল ভারতের তামিলনাড়ুতে অবস্থিত Aravind Eye Hospital থেকে ফ্যাকো সার্জারী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হোন। এছাড়াও তিনি ভারতের শংকর নেত্রালয়, L.V Prasad Eye Institute হায়দারাবাদ, Disha Hospital এ অবজারভার হিসেবে সর্বাধুনিক চক্ষু সার্জারী সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জন করে নিজেকে সর্মদ্ধ করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যেমন সিলেট, দিনাজপুর, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রার, সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সর্বোচ্চ সেবা দান করেন। বর্তমানে সুনামধন্য এই চক্ষু চিকিৎসক বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজে চক্ষু বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। উক্ত সংবাদে অপারেশন এর ত্রুটি বিষয়ে যে সকল কথা উল্লেখ করা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা বাংলাদেশে চক্ষু অপারেশনে সংখ্যার
দিক দিয়ে তাকে প্রথম তিনজনের মধ্যে ডা: বিপুল চন্দ্র রায়কে একজন ধরা হয়ে থাকে। তাঁর বিভিন্ন চক্ষু রোগী সুদূর আমেরিকা, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, সৌদি আরব, কানাডাসহ বিভিন্ন উন্নত রাষ্ট্র থেকে এসে অপারশেন করে গিয়ে এখনও সুস্থ্য রয়েছেন। চক্ষুরোগের উপর তাঁর এত যোগ্যতা থাকা সত্বেও বিশিষ্ট এই চিকিৎসকের ব্যাপারে অযাচিত প্রশ্ন উঠিয়ে জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ছড়িয়ে দেয়া মূর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়। চক্ষু অপারেশনের চার্জ নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে সে ব্যাপারে ডা: বিপুল চন্দ্র রায় জানান, শ্রী অরবিন্দ আই কেয়ারে সর্বনিম্ন চার্জ নিয়ে রোগীদের সর্বোচ্চ ভাল লেন্স দিয়ে চক্ষু অপারেশন করা হয়। এ সুযোগ দেশের অন্য কোথাও নেই। এখানে প্যাকেজ অনুযায়ী মূল্য নির্ধারন করে বিভিন্ন লেন্সের বিভিন্ন নাম সম্বলিত প্রিন্ট কপি রোগীদের মাঝে সরবরাহ করা হয়। প্যাকেজের মূল্য ও লেন্সের নাম ও কোম্পানীর নাম সম্পর্কে কোন গোপনীয়তা রাখা হয়না। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানে প্যাকেজের চার্জের চার্ট ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। রোগীরা তাদের সামর্থমত মূল্যে সেই প্যাকেজই গ্রহন করতে পারে। যিনি যে প্যাকেজ পছন্দ করেন সে লেন্সেই লাগিয়ে দেয়া হয়। শ্রী অরবিন্দ আই কেয়ারে সর্বনিম্ন প্যাকেজ এর মূল্য ১৫০০ টাকা যা দেশের কোথাও নেই। প্রতিটি রোগীর জন্য অত্র হাসপাতালের নিজস্ব তহবিল হতে ১০০০ টাকা করে ভুর্তুকি দেয়া হয়। জাতীয় অন্ধত্ব নিবারণে বগুড়ার প্রবীণ চক্ষু চিকিৎসক ডা: আতাউল হক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সর্গীয় রাজ কুমার বিহানীর পরিবারবর্গ সর্বনিম্ন প্যাকেজে সহায়তা করে থাকেন। তিনি বলেন, “সবার দ্বারে দ্বারে চক্ষু সেবা পৌছে দেয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য, অর্থ উপার্জন নয়”। ভারতের লেন্সের মান বিষয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি বলেন, ISO সনদপ্রাপ্ত ভারতের প্রখ্যাত Aurolab কোম্পানীর তৈরি করা অন্যতম গুণগত মানসম্পন্ন লেন্স বগুড়ায় শ্রী অরবিন্দ আই কেয়ার হাসপাতালে রোগীদের চোখে সংস্থাপন করে দেয়া হয়। এই লেন্স ভারতের সর্বোচ্চ লেন্স। এছাড়াও ব্যবহার করা হয় ভারতের অপর বিখ্যাত কোম্পানী Apasima লেন্স যার গুনগত মান আন্তর্জাতিকমানের। বিদেশী লেন্স ব্যবহার করে অপারেশনের প্যাকেজ মূল্য লিফলেটে উল্লেখ করা আছে, এখানে কোন গোপনীয়তা রাখা হয়নি। চক্ষু রোগীরা তাদের পছন্দ ও সামর্থ অনুযায়ী লেন্স লাগাতে পারেন। অপারেশনের পর প্রত্যেক রোগীকে লেন্স
কোম্পানীর স্টিকারযুক্ত প্যাকেট দিয়ে দেয়া হয়। প্রতিটি ডিকচার্জ ছাড়পত্র ফর্মে লেন্সের স্টিকার লাগানো থাকে। এখানে কারও সন্দেহের অবকাশ থাকার কথা নয়। তিনি আরও জানান, অরবিন্দ আই কেয়ারে আমেরিকার বিখ্যাত ALCON কোম্পানীর ফ্যাকো মেশিন ব্যবহার করা হয়। (সেঞ্চুরিয়াম এন্ড ইনফিনিটি) এটি বাংলাদেশের সর্বোৎকৃষ্ট ফ্যাকো মেশিন। গোটা উত্তরবঙ্গে সম্ভবত একটি মেশিনই রয়েছে যা অরবিন্দ আই কেয়ার সেন্টারে ব্যবহার করা হয়। গোটা বাংলাদেশে এ ধরনের মাত্র কয়েকটি মেশিন রয়েছে। মেশিনটির বিশেষত হলো মেশিনটি একবার চালু করলেই ৭০০০ টাকার ক্যাসেট লাগে। ব্যবহৃত ক্যাসেটটি দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যায়না। চক্ষু চিকিৎসায় উন্নতমানের এই মেশিনে চক্ষু অপারেশন নিরাপত্তা প্রায় শতভাগ। ভারত থেকে লেন্স আনার ব্যাপারে যে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি জানান, ভারত থেকে যেসব লেন্স ক্রয় করা হয় তা পাকা রশিদ অথবা ইনভয়েস এর মাধ্যমে ক্রয় করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কোন প্রতারণা কিংবা অন্য কোন অবৈধ উপায় অবলম্বন করা হয়না। শ্রী অরবিন্দ আই কেয়ারে সর্বোত্তম সেবা দানের উদ্দেশ্য নিয়েই এরকম ব্যয়বহুল মেশিন ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে সাধারণ ফ্যাকো মেশিনে ১০০ টাকার বেশি খরচ হয়না। তিনি বলেন, অর্থলিপ্সা থাকলে ডা: বিপুল চন্দ্র রায় বিপুল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারতেন। তিনি যখন এফসিপিএস পাস করেন তখন গোটা উত্তরবঙ্গে একইমানের মাত্র দুইজন চিকিৎসক ছিলেন। মানবসেবার কাজে তিনি জীবনের বেশিরভাগ সময় ব্যয় করেছেন। একজন প্রবীন চিকিৎসক হিসেবে তিনি সর্বনিম্ন পরামর্শ ফি নিয়ে থাকেন। অর্থলোভী হলে তিনি ভিজিট ফি বাড়িয়ে বহু টাকা উপার্জন করতে পারতেন। প্রতি শুক্রবার বন্ধের দিন তিনি তার গ্রামে গিয়ে অত্র এলাকার চক্ষুরোগীদের ফ্রি দেখেন, রোগীদের নিকট থেকে কোন ভিজিট নেন না। রোগিদের সব সময় অতিথি হিসেবে দেখা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১০,০০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদানের ব্যাপারে ডা: বিপুল চন্দ্র রায় বলেন, শুধুমাত্র মেয়াদোত্তীর্ণ সামান্য কিছু ওষুধ থাকার জন্য উক্ত ফাইন করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ কিছু ওষুধ কোম্পানীকে ফেরত প্রদানের জন্য আলাদা করে রাখা হয়েছিল। কোম্পানীর লোকজন ফেরত নিতে না
আসায় ভ্রাম্যমান আদালত ওই ওষুধগুলোই পায়। উক্ত ওষুধ কোন রোগীকে দেয়া হয়নি। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধগুলো সরাতে এক মাসের সময় বেধে দিয়েছিলেন। আমাদের সে সময় উত্তীর্ণ হয়নি। ডা: বিপুল চন্দ্র রায় ঘন ঘন ভারত ভ্রমন করার ব্যাপারে উক্ত সংবাদে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সে ব্যপারে তিনি বলেন, ২০০৭ সালে হঠাৎ তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করতে হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাকে ভারতের বিখ্যাত Jipmer Hospital in Pondicherry Hospital এ গিয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহন করতে হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসকগণ তাকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রতি বছর দুই থেকে তিনবার তাকে চেকআপ করা প্রয়োজন। সেকারণে তাকে ভারতে যেতে হয়, অন্য কোন কারণে নয়। ডা: বিপুল চন্দ্র রায় এর জীবনাদর্শ: তিনি ঋষি শ্রী অরবিন্দ এর আদর্শ অনুসরণ করেন এবং সে অনুযায়ী জীবন যাপন করেন। SINCERITY (আন্তরিকতা), HUMILITY (নম্রতা), GRATITUDE (কৃতজ্ঞতা), PERSEVERANCE (অধ্যবসায়), ASPIRATION (আস্পৃহা), RECEPTIVITY (গ্রহিষ্ণুতা), PROGRESS (প্রগতি), COURAGE (সাহস), GOODNESS (সাধুতা), GENEROSITY (উদারতা), EQUALITY (সমতা) ও PEACE (শান্তি) তার ধর্ম। ইকুয়ালিটি বা সমতা আদর্শের জন্য তিনি সৃষ্টিকর্তার সন্তান হিসেবে সবাইকে সমান চোখে দেখেন। ছোট-বড়, ধনী-গরিব, নির্বোধ, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, মুখোশধারী, সাধু, শয়তান সমাজের সবাইকে সমানজ্ঞানে রোগী হিসেবে এক চোখে দেখেন। কাউকে বিশেষভাবে দেখেন না। সবাইকে একভাবেই আন্তরিকতার সহিত দেখেন। তিনি কাউকে দেখে ভয়ও পান না। তিনি বিশ্বাস করেন হায়াত, মউত, রিজিক, ধন, দৌলত সবকিছুই সৃষ্টিকর্তার হাতে। আন্তরিকতার জন্য প্রত্যেক রোগীকে আন্তুরিকতার সহিত দেখা হয়। আর তা করতে গেলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগীর বেশি দেখা সম্ভব হয় না। এসব
কারণেই মাঝে মাঝে তথাকিথত ভিআইপি ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন স্বচ্ছতার জন্য এটুকু সত্য উন্মোচন না করে পারলাম না। শ্রী অরবিন্দ আই কেয়ারের ব্যাপারে যেসকল বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ তোলা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি বলেন, ২০০৪ সালে শ্রী অরবিন্দ সেন্টার বগুড়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে বিগত ১৫ বছর যাবৎ ধ্যান, শরীর চর্চা ও নৈতিক বিষয়ের উপর শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। ডা: বিপুল চন্দ্র রায় এর গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর এলাকার মহিষবাথান গ্রামে একটি আশ্রম বানানো হয়েছে যেখানে ধ্যান শিক্ষার পাশাপাশি একটি কিন্ডার গার্টেন (কেজি) স্কুল পরিচালিত হয়। সনাতন ধর্মারম্বীদের জন্য পূণ্যস্নানের জন্য মাতৃসরোবর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যেখানে বিশ্বের সুনামধন্য ২৪টি স্থানের জল সংমিশ্রন করে একটি পূণ্যতীর্থ স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এটি উদ্বোধন করেন দিল্লীর শ্রী অরবিন্দ আশ্রমের প্রেসিডেন্ট শ্রীমতি তারা জৌহর। প্রতি বছর ২৪ এপ্রিল হাজার হাজার পুণ্যার্থীবৃন্দ এখানে এসে পূণ্যস্নান করে থাকেন। এছাড়াও প্রতিদিন এখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শনার্থী ও পূন্যার্থীরা এই তীর্থস্থানে আসেন। বাংলাদেশ সুগ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের মাননীয় বিচারপতি সৌমেন্দ্র নাথ সরকার এই মাতৃসরোবর দুইবার পরিদর্শন করেন। বগুড়ার বর্তমান জেলা ও দায়রা জজ মি. নরেশ চন্দ্র সরকার পূণ্য এস্থান পরিদর্শন করে ভুয়সী প্রশংসা করেছেন। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি ডা: প্রাণ গোপাল দত্ত স্বস্ত্রীক তীর্থ এই স্থান পরিদর্শন করেন। তিনি এখানকার একটি ক্যান্টিন উদ্বোধন করেন। এছাড়াও দেশ বিদেশের বহু পদস্থ, জ্ঞানী, গুনী, সাধু, সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ মাতৃসরোবর পরিদর্শন করেছেন।
বিগত ১৫ বছর যাবৎ প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর শ্রী অরবিন্দ সেন্টারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দেশ বিদেশের সর্বোৎকৃষ্টমানের শিল্পীবৃন্দদের নিয়ে নাটক, নৃত্য, সঙ্গিত প্রভৃতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুরুচী, শিক্ষা ও নৈতিকবোধ সম্পন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। ডা: বিপুল চন্দ্র রায় নিজ তহবিল থেকে জমি কিনে মাতৃসরোবর এর রাস্তা প্রস্তুত করতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক সহযোগিতা করেন। গ্রামের সাধারণ রোগীদের জন্য একটি হাসপাতালের নির্মানকাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় বেকার নারী
পুরুষদের কর্মসংস্থানের জন্য কৃষি, প্রাণী সম্পদ, গরু, ছাগলের খামার, হাঁস, মুরগির খামার প্রভৃতি সৃষ্টির মাধ্যমে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান করে থাকেন তিনি। এই গ্রামে ২৫০ বছরের পুরানো আমতলী মহাশশ্মান এলাকাবাসীর সহযোগিতা নিয়ে সর্বাধুনিক চিতাসহ শবদাহের অবকাঠামো তৈরি করেন। এটি পরিবেশ বান্ধব, দৃষ্টিনন্দন। ও অনুকরণযোগ্য মহাশশ্মান। বাংলাদেশে একমাত্র শ্রী অরবিন্দ র্যা লিক্স সেন্টার ডা: বিপুল চন্দ্র রায় এর গ্রামের বাড়িতে তৈরি করা হয়েছে। যেখানে শ্রী অরবিন্দ এর দেহাংশ প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। দেশ বিদেশের বহু মানুষ এখানে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকেন। প্রতি বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ভগবৎ সন্দেশ নামক আধ্যাত্মিক পত্রিকা প্রকাশ করে থাকেন তিনি। এগুলো যদি তাঁর অপকর্ম হয়ে থাকে তাহলে সুকর্ম কাকে বলে তা দেখিয়ে দেয়ার জন্য গণমাধ্যমে প্রচার করা সংবাদের প্রতিবেদক ও মালিকদের কাছে অনুরোধ করেন। তিনি। কয়েকটি প্রবাদ ১। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। ২। রথির মহারথি তুমি যেই হও সৃষ্টির বাইরে তুমি নও। ৩। “Every day in each moment my blessing with you”. -The Mother