বগুড়ার মহাস্থান উন্নয়নের ধুলায় অন্ধকার
গোলাম রব্বানী শিপনঃ দিনের বেলা সূর্যের আলো থাকলেও উন্নয়নের ধুলায় অন্ধকার মহাস্থান। বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের ব্যস্ততম বাসষ্ট্যাণ্ডের বেশির ভাগ অংশ দেখে চেনার উপায় নেই এটি মহাসড়ক নাকি গ্রামীণ সড়ক।শুক্রবার, (৩এপ্রিল) সকাল ১০টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক উন্নয়ন করতে সড়কের কার্পেটিং তোলা হচ্ছে। এই কার্পেটিং তোলার কারণে রাস্তা খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। বেড়েছে ধুলার খনি। এই ধুলার মধ্য দিয়ে মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। এতে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে। আবার অনেক যানবাহন বুলার কারণে হেডলাইট জ্বলে চলাচল করতে দেখা গেছে। মাঝে মাঝে এখানে যানবাহন আটকে পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহাস্থান বাসষ্ট্যাণ্ড এলাকায় মহাসড়কে বেশ কিছুদিন ধরে চলছে রাস্তার কাজ। কখনো রাস্তার দু’পাশে ড্রেনের মত খনন করা হয়। আবার কখনো রাস্তার মাঝখানে খননের কাজ চলছে। বন্দর এলাকায় পিচ কার্পেটিং বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে ইটের সলিং। যা বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের রোল মডেল মুহুর্ত মহাসড়কে ইট সলিং কাম্য নয়। বর্তমান দেশ করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে। সে সময় জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করে মহাসড়কে ঠিকাদারেরা পানি না ছিটিয়ে রাস্তার কাজ করছে। এটা অমানবিক বলে স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন। করোনা ভাইরাস জনিত কারণে সরকারের নির্দেশে মহাসড়কের আশপাশের দোকানপাট গুলো বন্ধ থাকলেও ধুলাবালিতে একাকার হয়ে গেছে দোকানের ছাউনি। অনেক দোকানে ধুলাবালি পাউডারের মত প্রবেশ করছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে দোকানে রক্ষিত পণ্যসামগ্রী। সড়কে যখন গাড়ি চলে ধুলায় এক পাশ থেকে অন্য পাশ পর্যন্ত দেখা যায় না। দূর্ভোগ চরমে নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে চালক, যাত্রীসহ শ্বাসকষ্ট রোগী ও স্থানীয় এলাকা বাসিন্দাদের। মহাসড়কে ধুলোবালির কারণে দূরপাল্লার যাত্রীদেরও অতিষ্ঠ করে তুলেছে। উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক। তাই তড়িৎসড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটিয়ে দ্রুত গতিতে কাজ শেষ করার অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।