সখের বসে যারা মায়াবী হরিণ পালন করছেন,তারা গরু-ছাগলের চেয়েও অধিক লাভবান হচ্ছেন। বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পীরব ইউনিয়নের সিহালী এলাকার বিশিষ্ট চাতাল ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোকলেছার রহমান সখ করে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে মাত্র ২টি হরিণ কিনে এনে বাড়ীতে পুষে সখের পাশাপাশি কয়েক লক্ষ টাকা আয় করেন।
এখন তার বাড়ীতে মায়াবী হরিণের খামার গড়ে উঠেছে।
প্রতিবেদক নুরনবী রহমান জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার সিহালী হাটের বিশিষ্ট চাতাল ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোকলেছার রহমান সান্তাহার আবুল শাহার ফার্মে হরিণ দেখে হঠাৎ তার হরিণ পোষার সখ জাগে। তিনি ২টি হরিণ কিনতে চাইলে ফার্মের মালিক বিক্রি করতে রাজী না হয়ে তিনি মোকলেছার রহমান কে হরিণ কেনার স্থান এবং পালন সর্ম্পকে কিছু অভিজ্ঞতা জানিয়ে দেন। এরপর ২০০৩ সালের ২৮ আগস্ট মোকলেছার রহমান রাজশাহী সিটি করপোরেশন থেকে ২টি হরিণ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে এনে তার চাতালের পাশে ঘেরা একটি ফাঁকা জায়গায় পোষা শুরু করেন। সাড়ে ৬ মাস পর পর বাচ্চা দিয়ে মায়াবী হরিণের খামারটি এখন পরির্পূণ । চাতাল ব্যবসায়ী মোকলেছার রহমান জানান তার কেনা মাত্র ২টি হরিণ থেকে বেশ কয়েকটি হরিণ বিক্রি করে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করেন এবং খামারে ছোট বড় বেশ কিছু হরিণ এখনো আছে। তিনি আরো জানান সখের বশে আমি হরিণ লালন পালন করছি। আর এ খামারে হরিণ দেখতে এসে অনেকেই হরিণ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাই তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে অনুমোদন এনে কিছু কিছু হরিণ বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে।
একটি সূত্রে জানা যায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মোকলেছার রহমান হরিণ লালন পালনে কিছুটা বেকায়দায় পড়লেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকায় সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন মানুষ বলছেন হরিণ পালনে সুন্দর মনোরম পরিবেশ গড়ে তুলতে পারলে হয়তো গরু-ছাগলের চেয়েও হরিণ পালন করে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব।