মেতেছে হাতিরঝিল বিনোদন প্রেমীদের পদচারণায়।
ব্যস্ততার কারণে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হওয়ার সময় খুব একটা করে উঠতে পারেন না ব্যবসায়ী গাফফার হোসেন। ঈদের দিনও ব্যস্ত ছিলেন কোরবানি আর তা মাংস বণ্টনের কাজে। ছেলে মেয়ে আর স্ত্রীকে কথা দিয়েছিলেন ঈদের পরদিন ঘুরতে নিয়ে যাবেন। কিন্তু কোথায় যাবেন? ছেলে মেয়ে বায়না ধরেছে হাতিরঝিলে প্যাডেল নৌকা চালাবে। তারা স্কুলে বন্ধুদের কাছে শুনেছে সেখানে নৌকা চালানো যায়। গাফফার হোসেন বৃহস্পতিবার বিকেল বেলা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এলেন হাতিরঝিলে।
গাফফার হোসেনের মতো অনেকেই আছেন যারা ঢাকায় থাকলেও সময়ের অভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের ঘুরতে বের হওয়া হয় না। অনেকে আছেন বছরের পর বছর থাকছেন ঢাকায়, অথচ ঢাকার প্রসিদ্ধ বা বিনোদনস্পটগুলোতে কখনো যাওয়া হয়নি। এসব মানুষ বছরের দুই ঈদে সময় করে ঘুরতে বের হন ঢাকা দেখতে। ঈদের সময়ে ঢাকার বিনোদনকেন্দ্রগুলো রূপ নেয় মানুষের স্রোতে।
হাতিরঝিল প্রকল্প শেষ হওয়ার পর এটি নগরবাসীর জন্য বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দেখা দেয়। বিশেষ করে খোলামেলা পরিবেশ আর দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো সহজেই সবাইকে আকর্ষণ করে। এখানে আছে বেশ কয়েকটি সুন্দর খাবারের দোকান, স্পিড বোটে করে পুরো হাতিরঝিলের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ। প্যাডেল নৌকা ভাড়া করে বেড়ানোর সুযোগ।
পুরান ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোমরেজ তালুকদার কখনো আসেননি হাতিরঝিলে। এই প্রথম নতুন বউকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন এখানে। এসে খোলামেলা পরিবেশ খুব মনে ধরেছে তার। তিনি জানান, ঢাকার মধ্যে এতো বড় খোলামেলা ঝিল আর সুন্দর পরিবেশ আর নেই।
সাতটি বাইক নিয়ে কয়েকজন বন্ধু মিলে হাতিরঝিলে এসেছেন কলেজপড়ুয়া হীলন রায়হান। তিনি বলেন, ‘একটু প্রশান্তি আর খোলামেলা পরিবেশর সন্ধানে এখানে আসা। সব বন্ধুরাই এই জায়গাটি খুব পছন্দ করে।’