লক্ষ্মীপুরে জেলায় ইজতেমা শুরু
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
জেলায় শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা।শুক্রবার(২৩ ডিসেম্বর) ফজরের নামাজ শেষে আমবয়ানের মধ্যদিয়ে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতারগোপ্টা নামক এলাকায় এ ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে জেলা ইজতেমা।
এদিকে, জেলার প্রথম এ ইজতেমা জামাতে অংশ নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামতে শুরু করে। লক্ষ্মীপুর জেলা ছাড়াও এ ইজতেমায় অংশ নিয়েছে নোয়াখালী, চাঁদপুর ও ভোলাসহ বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাবলিগ জামাতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা কয়েকটি জামাত এ ইজতেমায় অংশ নিয়েছে।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর তুরাগ নদীর পাড়ে এক সাথে ৬৪ জেলার মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে ইজতেমাকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। গত বছর যে ৩২ জেলার মুসল্লিরা টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিয়েছিলেন সেই সব জেলার মুসল্লিরা এবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠে না গিয়ে নিজ নিজ জেলায় ইজতেমা করবেন। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লক্ষ্মীপুরে ২৩ থেকে ২৫ ডিসেম্বর এ জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে দুই লক্ষাধিক মুসল্লি এক সঙ্গে ইজতেমা মাঠে জুমার নামাজ আদায় করেন। যা এ জেলার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ জুমার নামাজের জামাত। তবে আয়োজকরা আশা করছেন আখেরী মোনাজাত পর্যন্ত তিন লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম হবে এ ইজতেমা ময়দানে।
ইজতেমা কমিটির সদস্যরা জানান, প্রায় ২৭ একর জমির উপর আয়োজন করা এ ইজতেমার মাঠে জেলা ও জেলার বাইরে থেকে আসা মুসল্লিরা জমায়েত হয়ে একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন। ইজতেমাকে ঘিরে ওজু, টয়টেল ও পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া স্থাপন করা হয়েছে প্রাথমিক ও জরুরি চিকিৎসা ক্যাম্প। লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ তিনদিন ইজতেমা মাঠে বিরামহীনভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া মুসল্লিদের সুবিধার্থে মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি রবি ও এয়ারটেল ইজতেমার মাঠে স্থাপন করেছে অস্থায়ী টাওয়ার।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার আ স ম মাহতাব উদ্দিন বলেন, মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় কাজ করছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। সব মিলে ইজতেমাকে ঘিরে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, জেলা ভিত্তিক এ ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লিদের যাতে কোনো প্রকার সমস্যা না হয় সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করছি শান্তিপূর্ণভাবে এ ইজতেমা সম্পন্ন হবে।