১৯ প্রাণ বাঁচল ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বগুড়ায়
সোমবার রাতের ঝড়ে বগুড়ার জাহাঙ্গীরাবাদ ক্যান্টনমেন্টে নির্মাণাধীন ভবনের ২৬ শ্রমিক চাপা পড়েন। এতে কিছু শ্রমিক কোনোভাবে বের হতে পারলেও আটকা পড়েন ১৯ জন।তবে এই ভয়াবহতার মধ্যেও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তারা। মাথা ঠাণ্ডা রেখে একজন শ্রমিক কল দেন জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ। মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স। দ্রুত সেখান থেকে ১৯ শ্রমিককে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।এর মধ্যে সবাই শঙ্কামুক্ত থাকলেও পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। তবে ৯৯৯-এ কলই ওই শ্রমিকদের আরও বড় বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।ইউএনও ফুয়ারা খাতুন বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তুমুল ঝড়-বৃষ্টির আঘাতে এটি ভেঙে পড়ে। এতে আহত হন ২৬ জন শ্রমিক। আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা সবাই যেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পান সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে।আহতদের মধ্যে গোলাম রব্বানী, রোমান, শাহিন, জয়নাল, নবীর, আলমগীর, সাফিনূর, শাহ্ আলম, বাবু, মামুন, সাদেশ, রাকিব, রাকিবুল, শিপন, আতিকুল, আল আমিন, রাজ্জাক ও সাজুর পরিচয় জানা গেছে। এদের বেশিরভাগই গাইবান্ধার বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে কারো পা-ও ভেঙে গেছে। আবার কেউ মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।জেলার অতিরিক্ত এসপি (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী বলেন, ৯৯৯-এ কল পেয়েই ঘটনাস্থলে তারা সবাই দ্রুত ছুটে যান। আহত সব শ্রমিককে উদ্ধার করে শজিমেকে নেয়া সম্ভব হয়। ১৯ জন শ্রমিককে তাৎক্ষণিক ভর্তি করা হয়। অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আঘাত মারাত্মক হলেও বাকি সবাই শঙ্কামুক্ত। সময় মতো তাদের হাসপাতালে নিতে না পারলে অনেকের অবস্থা সংকটাপন্ন হতে পারতো।